২০২৫ সালের জুনিয়র (অষ্টম শ্রেণির) বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা
২০২৫ সালে পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা, যা অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকে উত্তেজিত করেছে। এই পোস্টে দেওয়া হলো বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা, বিষয়, সময়, নম্বর এবং বৃত্তি পদ্ধতির বিস্তারিত, যা আপনাদের বেগবান প্রস্তুতি ও পরিকল্পনায় সহায়ক হবে।
পাঁচটির পরীক্ষা: নম্বর ও সময়ের বিস্তারিত বিবরণ
| বিষয় | পূর্ণ নম্বর | সময় (মিনিট) |
|---|---|---|
| বাংলা | ১০০ | অন্তত ৩ ঘণ্টা |
| ইংরেজি | ১০০ | 〃 |
| গণিত | ১০০ | 〃 |
| বিজ্ঞান | ৫০ | 〃 |
| বাংলাদেশ ও বিশ্ব পড়াশোনা | ৫০ | 〃 |
| মোট | ৪০০ | ৩ ঘণ্টা (Extra ৩০ মিনিট স্ব – সাধারণ) |
বৃত্তি পরীক্ষায় কারা অংশগ্রহণ করতে পারবে?
৭ম শ্রেণির ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি স্কুল থেকে শুধুমাত্র শীর্ষ ২৫% শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে
পরীক্ষার কাঠামো ও নম্বর কাঠামো
পরীক্ষার সর্বমোট মান ৪০০ নম্বর, যা পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে ভাগ করা হবে: বাংলা, ইংরেজি, গণিত (প্রতিটিতে ১০০ নম্বর), বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্ব পড়াশোনা (প্রতি ৫০ নম্বর)
প্রাচীনভিত্তি পরীক্ষা তিন ঘণ্টা সময়সীমায় অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট সম্পূরক সময় প্রদান করা হবে
বৃত্তির বিভাজন ও লিঙ্গভিত্তিক বরাদ্দ
-
দুটি বিভাগে বৃত্তি দেওয়া হবে:
-
মেধা ভিত্তিক (Merit)
-
কোটা ভিত্তিক (Quota)
-
-
নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সম-সংখ্যায় বৃত্তি বরাদ্দ থাকবে, তবে যদি কোনো ক্যাটাগরিতে আবেদন না আসে, তাহলে অন্য লিঙ্গ থেকে বৃত্তি পূরণ করা যাবে
যোগাযোগ, নিয়ন্ত্রণ ও আশা অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সার্বিক বৃত্তির সংখ্যা নির্ধারণ করবে, এবং উপজেলা সদর দপ্তরে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচন করা হবে
এই নতুন জেএসসি/জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার কাঠামো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আগে যেখানে সবাই অংশগ্রহণ করতো, এখন শুধু মেধাবী ও প্রস্তুত শিক্ষার্থীরাই সুযোগ পাবে, যা প্রাতিষ্ঠানিক মান ও বৃত্তির গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক। সময় ব্যবস্থাপনাও আন্তরিকভাবে পরিকল্পিত—গবেষণামূলক ও সুবিবেচিত।
